নবীন কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে কাব্যলোকের প্রতিষ্ঠা। কাব্যলোকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৪ আশ্বিন ১৪১৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে। শুরুটা ছিলো ঋতুভিত্তিক স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর দিয়ে। পরবর্তীতে বিষয় ভিত্তিক কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন চলে। এযাবৎ ৩৮ টি সফল আয়োজন করেছে। কাব্যলোক নবীন সহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে অনেকগুলো প্রোগ্রাম বাস্তাবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গাজীপুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, নেত্রকোণায় কবিতা পাঠের আসর ও বনভোজনের আয়োজন। কাব্যলোকের কবি ও তাদের পরিবারবর্গকে নিয়ে সুন্দরবণ ভ্রমণের আয়োজন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংক্ষিপ্ত সফরে কাব্যলোকের সদস্যদের নিয়ে ঝটিকা সফরের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষত ছোট ছোট গ্রুপ নিয়ে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের আবহমান বাংলার প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাওয়ার অনবদ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে কাব্যলোক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ বাংলার প্রকৃতি দর্শন- ঝালকাঠী-পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী পেয়ারা বাগান, কীর্তনখোলা নদীতে রুপালী ইলিশ শিকার, কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের হাওড়ের প্রকৃতি দর্শন, নেত্রকোণার দূর্গাপুরের চিনা মাটির পাহাড় পরিদর্শন, ব্রিটিশ বিরোধী হাজং বিদ্রোহের স্থাপনা পরিদর্শন, বান্দরবানের নৈসর্গিক প্রকৃতি দর্শন ইত্যাদি। আদী বাংলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্থাপনা, উত্তর বঙ্গের পাল আমলের দর্শনীয় স্থানসমুহ পরিদর্শন, নওগাঁর কৈবর্ত শাসকদের স্থাপনা-নিদর্শন পরিদর্শন ইত্যাদি। সাহিত্য ছাড়াও শিল্প-সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায় কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন ধাপ অতিক্রমের প্রচেষ্টা শেষে কাব্যলোক কালচারাল ট্রাস্ট নামে নিবন্ধিত হয়েছে।
কাব্যলোকের মূল লক্ষ্য বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও ব্যাপক প্রচারণা। এ লক্ষ্যেই কাব্যলোক সর্বদা নবীন প্রতিভাবানদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, যা ইতোমধ্যে সীমিত আকারে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। কাব্যলোক সীমিত সাধ্যের মধ্যে, শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় শিল্প ও সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচারে সামান্য হলেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ভবিষ্যতে র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আমারা বিশ্বাস করি। “দশে মিল করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।“ আমরা এগিয় যাবো নিশ্চিত।