২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, ১০ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিঝিলস্থ ফ্লাভিনো রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হলো কাব্যলোকের ৩৯তম আয়োজন। এবারের বিষয় ছিলো “আমার মা”। করোনা পরবর্তী সময়ে তুলনামূলক স্বল্পসংখ্যক অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাব্যলোকের চেয়ারম্যান কবি জেবুননেসা হেলেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবন্ধকার ও বিজ্ঞান লেখক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী।
এবারের আয়োজনে সেরা পাঁচ নির্বাচিত কবি/লেখকগণ হলেন:
১. সেরা পাঁচ- প্রথম: কবি ফরিদুজ্জামান (পার্বতীপুর, দিনাজপুর)
২. সেরা পাঁচ- দ্বিতীয়: কবি ডা. হাফিজ উদ্দীন আহমদ (ঢাকা)
৩. সেরা পাঁচ- তৃতীয়: কবি ফাহমিদা এদিব (রাজশাহী)
৪. সেরা পাঁচ- চতুর্থ: কবি ডা. যোসেফা এলিজাবেথ (ঢাকা)
৫. সেরা পাঁচ- পঞ্চম: কবি শিউলী আখন্দ (ঢাকা)।
কাব্যলোক আয়েজনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে যাঁরা সর্বদা অবদান রেখে চলেছেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই কাব্যলোক প্রচলন করেছে “কাব্যলোক সম্মাননা”। ১৪২৭ বঙ্গাব্দের জন্য কাব্যললোক সম্মাননা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আবু তোয়াব শাকিরকে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত কাব্যলোক কালচারাল ট্রাস্টের “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ”-এর মনোনীত সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। ট্রাস্টের গঠনতন্ত্রর ৭(এ) ধারানুসারে মনোনীত“ প্রথম বোর্ড অব ট্রাস্টিজ”-এর সদস্যগণ হলেন:
১. সভাপিত: কবি মো. ইফতেখার আলম
২. নির্বাহী সদস্য: কবি জেবুননেসা হেলেন
৩. নির্বাহী সদস্য: কবি ও অনুবাদক শহীদ ইমাম
৪. নির্বাহী সদস্য: কবি যোসেফা এলিজাবেথ
৫. নির্বাহী সদস্য: কবি মো. খাইরুল বাশার।
ট্রাস্টের ট্রাস্টি, নুরুল্লাহ মাসুম পদাধিকারবলে “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ”-এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
নবনিযুক্ত “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ”-এর সদস্যদের নাম ঘোষণার পর বিদায়ী চেয়ারম্যান কবি জেবুননেসা হেলেন নতুন সভাপতি ও নির্বাহী সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অতিথি অপরেশ কুমার ব্যানর্জী তার বক্তব্যে নতুন নেতৃত্বে কব্যলোকের কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বিদায়ী সভাপিত কবি জেবুননেসা হেলেন বিগত তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে সকলের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো স্মরণ করেন, তার কার্যমেয়াদে ভয়াবহ করোনা দুর্যোগ অতিক্রম করতে হয়েছে, তাই অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের মতো কাব্যলোক পিছিয়ে গেলেও ভার্চুয়ালি কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে সদস্যদের কাছাকাছি থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলো।
নবনিযুক্ত সভাপতি ইফতেখার আলম আগামী দিনগুলোয় কাব্যলোকের কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
নৈশভোজের মধ্যদিয়ে কাব্যলোক-৩৯ এর কার্যক্রম শেষ হয়, তখন রাত দ্বিপ্রহর।